জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ২০২৫: মোবাইল ও কম্পিউটারে আবেদনের পূর্ণাঙ্গ গাইড (ভুল এড়ানোর উপায়)

জন্ম নিবন্ধনে ভুল থাকা বর্তমানে একটি বড় সমস্যা। কিন্তু সরকারি ওয়েবসাইটের জটিল মেনু এবং বিভ্রান্তিকর বার্তার কারণে অনেকেই আবেদন করতে গিয়ে মাঝপথে আটকে যান। আজকের এই বিশেষ পোস্টে আমরা জানব কীভাবে মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহার করে সঠিকভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন করা যায়।


১. শুরুতেই লিঙ্ক বিভ্রাট থেকে সাবধান

অনেকেই সরাসরি লিঙ্কে ক্লিক করে কর্মকর্তাদের লগইন পেজ দেখে বিভ্রান্ত হন।

  • সমাধান: ব্রাউজারে সরাসরি https://bdris.gov.bd টাইপ করুন।
  • সরাসরি লিঙ্কে সমস্যা হলে এই পদ্ধতিতে হোমপেজে প্রবেশ করা সবচেয়ে নিরাপদ।

২. মোবাইল ও কম্পিউটারে অপশন খুঁজে পাওয়ার উপায়

মোবাইল ভিউতে অনেক সময় সরাসরি "সংশোধন" মেনুটি দেখা যায় না। আপনি এই লিংকে https://bdris.gov.bd ঢোকার পর প্রথমেই নিচের পেজটি দেখতে পারবেন। তীর চিহ্ন দেওয়া তিন লাইনের আইকনটিতে ক্লিক করুন।

তিন লাইনের আইকনটিতে ক্লিক করার পরে নিচের পেজটি দেখতে পারবেন। এখান থেকে জন্ম নিবন্ধন লেখাটিতে হালকা চাপ দিয়ে ধরে ছেড়ে দিন।

 
তারপর এমন একটি ট্যাব আসতে পারে কিন্তু ঘাবড়াবেন না। ট্যাবটির বাইরে ফাঁকা জায়গায় ক্লিক করুন তাহলে ট্যাবটি চলে যাবে।

এখন দেখুন নিচের পেজটি আসবে। এই পেজ থেকে মার্ক করে দেওয়া "জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন" এ ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করলে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য একটি নতুন পেজে নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি ও জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
 


৩. পিতা-মাতার নাম সংশোধনের সতর্কবার্তা (নিজের তথ্য সংশোধন যেভাবে করবেন)

আবেদন পেজে প্রবেশের পর প্রথমেই পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের একটি বড় নির্দেশিকা বা সতর্কবার্তা দেখা যায়।

  • বিভ্রান্ত হবেন না: এটি দেখে ভাববেন না যে আপনি নিজের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন না।
  • কী করবেন: এই সতর্কবার্তাটির একটু নিচেই আপনার নিজের ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ দেওয়ার ঘর রয়েছে। সেখানে তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান করলে আপনি নিজের নাম, বয়স বা অন্যান্য তথ্য সংশোধনের মূল ফরমে পৌঁছে যাবেন।
  • কম্পিউটারে: উপরের মেইন মেনু বার থেকে সরাসরি "জন্ম নিবন্ধন" অপশনে মাউস রাখলেই সংশোধনের লিঙ্কটি পেয়ে যাবেন।
  • পরামর্শ: মোবাইলে কোনো মেনু খুঁজে না পেলে ব্রাউজারের সেটিংস থেকে "Desktop Site" মোডটি অন করে নিন।

৪. আবেদন করতে যা যা লাগবে (চেকলিস্ট)

আবেদন শুরু করার আগে এই তথ্য ও কাগজগুলো প্রস্তুত রাখুন:

  • নিবন্ধন নম্বর: ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নম্বর।
  • স্বাক্ষরিত ফরম: আবেদন শেষে অনলাইন ফরমটি ডাউনলোড করে তাতে আবেদনকারীকে স্বাক্ষর করতে হবে।
  • ছবি ও পাসপোর্ট: এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং যদি থাকে তবে বাংলাদেশি পাসপোর্টের ফটোকপি।
  • প্রমাণপত্র: তথ্য সংশোধনের সপক্ষে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (JSC/SSC) বা এনআইডি কার্ডের কপি।

৫. পরবর্তী পদক্ষেপ ও ফি

অনলাইনে ফরম পূরণ হয়ে গেলে সেটি প্রিন্ট করে আপনার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার সংশোধিত জন্ম সনদটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

Comments

Popular posts from this blog

১৫,০০০ টাকা বেতনের মধ্যে খরচ ও সঞ্চয়ের বাস্তবসম্মত কৌশল

📚 ছাত্রজীবনে পার্ট-টাইম কাজ: পড়ালেখার ক্ষতি না করে উপার্জনের সেরা উপায়

🕌 কোরআন ও হাদিসের আলোকে অর্থ সঞ্চয়: একটি ইসলামিক জীবনপদ্ধতি